✍🏻আফরিন শুভ,যেখানে গভীর শূন্যতা , যেখানে অন্তহীন কোন পথের শুরু সেখানেই আমার অস্তিত্ব ! নিজের সম্পর্কে তাই কিছু বলে ফেলা কিছুটা অসম্ভব ই ! ক্লান্ত – ভ্রান্ত এক স্বপ্নচারী , নিখাদ স্বপ্নবাজ !
✍🏻প্রিয়
✍🏻আফরিন শুভ,বিকেলের ছাদে জমাট বাঁধা ভুলে যাওয়া শব্দগুলো নিয়ে ভুল করেই বসে থাকি। শরীরবৃত্তীয় চলনের ভাষাটা আমি ঠিক টের পাইনা , না হলে ঠিক এই চিঠিতেই লিখে দিতাম … বহু আগেই শরীর জুড়ে তোমার চলাচল, মস্তিস্কের নিউরন তোমার চোখের কাজলে থমকে আছে। জ্যামিতিক কোন নিষ্টুর প্রয়াসে ঈশ্বরের চোখের ভাষার সংখ্যাতান্ত্রিক জটিলতায় থমকে আছে তোমার আর আমার প্রেম! আর এই সমাজের রক্তাত্ব শরীরের ক্ষতগুলো তোমার আর আমার মাঝে দেয়াল হয়ে আছে তোমার আমার জন্মের বহু আগেই । জানো আমি মাঝে মাঝেই সেই দেয়ালে হাতড়ে খুঁজি ক্ষতচিহ্ন । কেন জানি আমার হাতের অনুভূতিতে ধরা দিতে চায়না দেয়ালের ক্ষত , নগ্ন কিন্তু লজ্জায় কুঁকড়ে থাকা টেলিছবির নায়িকার মত !
তাই বুঝতে পারিনা কোথায় থেমে আছে বৃষ্টিপ্রলাপের আগের মুহূর্ত , বিকেলের ছাঁদে রংধনুর খেলা ? আমাদের নাগরিক যান্ত্রিকতার এই শহরের বিকেলের মরণ হয় লালচে সন্ধ্যার করুণ সুরে। অথচ এই সন্ধ্যাগুলোর কোন রঙ থাকেনা। রোজ সন্ধ্যায় আমি জ্বরে কুঁকড়ে থাকি, অথচ ঘোরটা থাকে সন্ধ্যা পেরিয়ে মাঝরাতে , শুভ্র প্রভাতে , তপ্ত দুপুরে !
আমি সমুদ্রবীক্ষণে তোমার চোখের বাঁকা চলন দেখি ,সামুদ্রিক পাখির ডানায় উড়তে দেখি তোমার খোলা চুল , আর সামুদ্রিক গর্জনে শুনি খোঁড়া চাঁদের আর্তনাদ !
শব্দজটের নিষ্পেষণে তোমার যন্ত্রণা আমার চাইতে বেশী কি? আমার কিন্তু ঠিক ই মনে পড়ে
সেদিন রাতে ভুলে ডুবে যাওয়া চাঁদের কথা , জোনাকিদের ছুটোছুটিতে তোমার নিমগ্নচিত্তে শব্দের প্রতীক্ষার কথা !
তোমার চোখের অন্ধকার , আমার আলোর ভুবন !
সেই অন্ধকারেই ক্রমশ ঝড় তুলি
শরীর এলিয়ে
বাঁকে বাঁকে লেপ্টে থেকে !
বাড়ি ফিরেই চোখে পড়ে আমার জানালার কার্নিশের ছায়ায় বিমর্ষ সূর্যের প্রতিফলন! গরাদে ঝুলে থাকে বাবার মলিন শার্ট আর তার বুক পকেটে বিবর্ণ চশমার ফ্রেম।
তুমিহীনা নিমগ্ন রাতগুলোতে ক্রমশই চোখে ভাসতো ক্যানভাসে বাবার মুখ , মায়ের মলিন হাসি! পাড়ার পিসিদের অপচ্ছায়া আর কণ্টক হাসি ! এই ভেবেই ক্রমশই ঘামতে থাকি, হাপিয়ে উঠি আমাদের নিম্মবর্গীয় গন্ডির খেলাঘরেই ।
বিশ্বাস করো আবেগী তুলিতে নয়
কল্পনাতেও নয় , আমার সমস্ত ভাবনায়
চষে বেড়াই পৃথিবীর সমস্ত ধর্ম
ভূ-খন্ডের চর থেকে চরে !
তারপর আয়োজন করে ফেলি
আমার শৈশবের স্কুল , স্কুলে যাবার পথে একলা পড়ে থাকা নদী , তার তীরে ঘাসফুল আর ভাসতে থাকা নৌকো!
আমাকে একটা নদী দেবে , সেই নদীটার মত ! আমি ডুব দিয়ে তোমাদের সমাজের চোখে কাপড় বেঁধে মুখ লুকাতাম তোমার নিঃশ্বাসে!..আফরিন শুভ

Leave a comment