প্রেমে প্রতারনা!আফরিন শুভ!

✍🏻আফরিন শুভ

যাঁদের আইকিউ বেশি তাঁরা সহজেই নতুন প্র্যাক্টিস, নতুন সমাজব্যবস্থা মেনে নিতে পারেন। ফলস্বরূপ তাঁরা সম্পর্কে প্রতারণা করেন না।

জীবনে নাকি প্রেম একবাইরই আসে, কথাটা কাব্যিক হলে মোটেও সত্যি নয়। না হলে কি প্রেমে প্রতারণার বিষয় নিয়ে আলোচনা করার প্রয়োজন পড়ে? হৃদয়ভঙ্গের পর আবার প্রেমে পড়াটা না হয় মানলাম স্বাভাবিক। কিন্তু একটা সম্পর্কে থাকাকালীন, অন্য আর এক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়াটা আর যাই হোক প্রেম কিন্তু হতে পারে না। এবার প্রশ্ন হল কেন কেউ প্রেমে প্রতারণা করে এবং কেউ সারাজীবন একইটাই সম্পর্কের মধ্যে সারাজীবনের উষ্ণতা খুঁজে নেন।

মানুষের স্বভাবগত বৈশিষ্ট্য তো আছেই, এছাড়া নাকি আরও কিছু কারণ যার জন্য একজন মানুষ সম্পর্কে প্রতারণা করেন। পুরুষ-নারী উভয়ের ক্ষেত্রেই দেখা গেছে বিবাহ বহির্ভূত সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ার নানা কারণ থাকতে পারে যেমন সম্পর্কে একঘেয়েমি, সেক্সুয়াল ডিসস্যাটিসফ্যাকশন ইত্যাদি।

প্রসঙ্গত বলি চিটিং-এর সঙ্গে বুদ্ধি (আই কিউ) সরাসরি সংযোগ আছে। বিশষ করে পুরুষদের ক্ষেত্রে এই কথাটা আরও বেশি করে খাটে। লন্ডন স্কুল অফ ইকোনমিকস অ্যান্ড পলিটিকাল সায়েন্স-এর এভলিউশনারি সায়কোলজিস্ট ড. সতোশি কানাজ়াওয়ার মতে ‘‘স্মার্ট মেন আর লেস লাইকলি টু চিট’’। এভলিউশনারি হিস্ট্রি যদি আমরা দেখি তা হলে বুঝতেই পারবেন, পুরুষরা বরাবরই বহুগামী। আমাদের দেশের রাজরাজরাদের কথাই ভাবুন না। প্রত্যেকেই কিন্তু বহু বিবাহ করেছিলেন।

আজকাল এই ছবিটা বদলে গেলেও পুরুষেদর কাছে সেক্সুয়ালি এক্সক্লুসিভ সম্পর্ক এখনও বেশ আনকোরা ব্যাপার। ওঁর থিওরি অনুযায়ী যাঁদের আইকিউ বেশি তাঁরা সহজেই নতুন প্র্যাক্টিস, নতুন সমাজব্যবস্থা মেনে নিতে পারেন। ফলস্বরূপ তাঁরা সম্পর্কে প্রতারণা করেন না। নিজেদের বদলানো পরিস্থিতির সঙ্গে দিব্যি মানিয়ে নেন। কিন্তু যাঁরা বোকা (পড়ুন লো আই কিউ), তাঁরা কিন্তু চট করে সমস্ত পরিস্থিততে মানিয়ে নিতে পারেন না। পলিগ্যামাস মানসিকতা থাকলে মোনোগ্যামাস হওয়া তাঁদের কাছে মোটেও সহজ নয়।

আপাতদৃষ্টিতে তাঁরা ‘ইভলভড’ হলেও নাকি মানসিক দিক থেকে বেশ পিছিয়ে থাকেন। আর তাই তাঁদের চরিত্রের বহুগামী দিক বাইরে বেরিয়ে আসে, তাও সামান্যতম প্রলোভনে। আর যাঁরা বুদ্ধিমান তাঁরা সেক্সুয়ালি এক্সক্লুসিভ রিলেশনকে অনেক বেশি দাম দেন, কারণ তাঁরা সম্পর্কের গুরুত্বটা বোঝেন।

মহিলাদের ক্ষেত্রে এই কথাটা খাটে না, কারণ মহিলারা বরাবরই একগামিতায় বিশ্বাস করে এসেছেন (ব্যতিক্রম থাকতেই পারে)। সমাজব্যবস্থায় যখন বহুবিবাহ প্রচলিত ছিল, তখনও মহিলারা একটি সম্পর্কেই আবদ্ধ থাকতে পছন্দ করতেন। সুতরাং তাঁরা যখন সম্পর্কে প্রতারণা করেন, তাঁর সঙ্গে বুদ্ধির কোনও যোগ নেই বলেই আমি শুভ মনে করি….আফরিন শুভ…!!!

Leave a comment

Design a site like this with WordPress.com
Get started